এই ব্লগটি সন্ধান করুন

বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৫

আমি ৪

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, ভূগোল পরীক্ষার পরের দিন হয়ে গেল সমাপন, আমার প্রেমের সমাপন। এতে করে আমার হাল হয়ে গেল, ডায়রিয়া হলে যেরকম শক্তি শূণ্যতা হয়, তার ন্যায়।
উচ্চমাধ্যমিকে ৩.৫০। আসলে এটি আমার কু-কর্মের ফল। হঠাৎ হয়ে গেলাম নিরুদ্দেশ, বন্ধু, আড্ডা সব ত্যাগ করে কারো সাথে কোন যোগাযোগ রাখলামনা।
পারি জমালাম সিলেটে, বেশ কিছুদিন ছিলাম ওখানে। ঘুরে দেখেছি প্রকৃতি। ফিরে এলাম আর বেশ কেমন জানি নামাজি হয়ে গেলাম। বন্ধুদের রাতভর ফোন দিয়ে উপদেশ দিতাম। হঠাৎ মনে পড়ে গেল যে সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ঢাকায় গিয়ে পড়ছে, আমি বসে আছি কেন; তাই আমিও চলে এলাম ঢাকায়।
আমি, রাব্বী, রকি। একসাথে থাকি কিন্তু পড়া হলনা, শুরু হল আরেক অধ্যায়। সবকিছু থেমে যাওয়ার আগে এক দমকা হাওয়া আসে, এলোও তাই। যার অনেক দরকার ছিল তা না হলে হয়তো আজ লিখতেও পারতামনা।

.........৫

রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

আমি ৩

শুরু হল এক বৈধ প্রেমের অ-বৈধ সম্পর্ক। জীবনের ঘরে জালিয়ে দিলাম লাল বাতি। এতো বেশি মোহে পড়ে গেলাম যে নিজেকে ভুলে গিয়ে, আমার জন্মদাত্রী, বাবা সমতূল্য চাচা,.... ধু নয় যারা সেই বন্ধুদের সাথে মোহকে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে জঘন্যতম ব্যাবহার প্রতিস্থাপন করেছিলাম। টাকা থেকে শুরু করে নিজের অবস্থান পর্যন্ত শেষ করেছি।
ফলশ্রুতিতে মাধ্যমিকে পাশ ৪.১৯।
কলেজে, একদিন ক্লাশ করেছিলাম একটিই ক্লাশ-ইংরেজী। বাছ আর আমার দেখা নাই। আসতাম তবে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। আর মোহতো আছেই। কলেজ জীবনে সবচেয়ে বেশিই বেসামাল হয়ে পরেছিলাম। সেনামি, রাত অবধি আড্ডা, আর হোন্ডা নিয়ে তাফালিং, এ যেন আমার নিত্যদিনের কারবার।
অনেক পড়ার চাপ, রাব্বীকে মাগরিবের পর দেখাই যেতনা। আর আলতাফ আলীর ঘাট আমার পিছু ছাড়তনা। প্রথমে আসতাম আর শেষে যেতাম।
আর এর পরের বদ অভ্যাস ছিল আমি আর সৌরভ রাতের শহর দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পরতাম, ফিরতাম ভোরে......
.........৪র্থ

আমি ২

বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর কিছু খারাপ অভ্যাসের সাথে নিজের জীবনকে মিশ্রিত করে দিয়ে ছিলাম। আড্ডার স্থান ভেদে বন্ধু মহলেরও ভিন্নতা ছিল। সকাল থেকে বিকাল আর সন্ধা থেকে গভীর রাত, আড্ডা। স্কুল পালানো আর হাবিব মামার দোকান, ফল স্মরুপ টেস্টে অংকে ফেল। এখানেইও বন্ধু, তবে তারা বন্ধু,....ধু না। তাই আরকি পাশ করিয়ে নিলো। যাই হোক মাধ্যমিক পার সাথে এক কালো অধ্যায়ের সূচনা।
........৩

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫

আমি

আমি,
অনার্স শেষ বর্ষরে, আমাকে নিয়ে কারো কোনো ভরসা ছিলোনা। আমিতো স্কুল-কলেজে ফেল করে করে পার হয়ে গেছি। যার কারণে আমার মা চেয়ে ছিল আমি আজিজুল হক কলেজে, বগুড়াতে পড়ি, মোটামুটি আমার ইচ্ছেতেই আমাকে মা এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায়। তুলোনামূলক আমার ফলাফল বেশ সবাইকে খুশিই করেছে। কিন্তু আগামীতে কি হবে জানিনা। তবে সবার দোআ চাই।

একটু পেছনের দিকে তাকাই, কি বলেন; আমার মা একজন অসাধারণ মা, সবার মা'ই তাই। ১২ বছর হল বাবা মারা গেছে, তবে সামান্য চাকরী করে আমাকে সে এতোদূর এনেছে। জানেন আমার মার অনেক বরো অসুখ, আজ মা চিকিৎসা করাচ্ছেনা কারণ টাকার অভাব। আমার দাদা আমাকে কিছু দেয়নি আর এতো অল্প বয়সে বাবা মারা গেছে।।।।।মাঝখানে কাজ করতে চাইলাম, মা করতে দিলনা। ভাল উকিল হতে হবে যে, পড়তে হবে না,,,,?

আরও একটু পেছনে  যাই, যখন ছিলাম আমি বেয়াদপ, তখন আমি দশম শ্রেণিতে.......

২য় পর্বে দেখুন........